ভ‍্যানেশিং কালি ব‍্যবহার করে চেক জালিয়াতির অভিযোগ : তদন্তে পুলিশ

13th February 2021 6:11 pm হুগলী
ভ‍্যানেশিং কালি ব‍্যবহার করে চেক জালিয়াতির অভিযোগ : তদন্তে পুলিশ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : ভ্যানিসিং কালি ব্যবহার করে চেক জালিয়াতির অভিযোগ! ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা প্রতরনার স্বীকার ডানকুনির ব্যবসায়ী। বালির বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাঁধুখা ডানকুনির স্টেশনের কাছে অ্যালুমিয়ামের ব্যবসা রয়েছে ।টাটা ক্যাপিটাল ফাইনান্স কোম্পানী থেকে তাকে ফোন করা হয় লোনের জন্য বলে দাবি তার।ব্যবসা বাড়াতে লোনের প্রয়োজন থাকায় গৌরাঙ্গ বাবু লোন এজেন্টকে তার দোকানে আসতে বলেন। সুজয় চক্রবর্তী নামে এক যুবক আসে বলে অভিযোগ ।কয়েকটি ফর্মে সই করিয়ে দুটি চেক নেয় বলে ব্যবসায়ীর দাবি।অভিযোগ একটি ক্যানসেল চেক একটি প্রসেসিং চার্জের জন্য চেক নিয়ে নিয়ে যায় । ফর্ম আর চেক এজেন্টের পেন দিয়ে লেখে । চেকে সই নিজের পেন দিয়ে করেন গৌরাঙ্গ বাবু। পরদিন তার রাস্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের সেভিংস এ্যাকাউন্ট থেকে একটি চেকে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা আরেকটি চেক থেকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেয় প্রতারক বলে অভিযোগ । মোবাইলে মেসেজ আসতেই গৌরাঙ্গ বাবু ডানকুনি ব্রাঞ্চে গিয়ে খোঁজ নেন । ৪৮ হাজার টাকা তোলে রাজকুমার রায় নামে একজন । ১ লক্ষ ৮৬ হাজার  কলকাতার চিত্তরঞ্জন ব্রাঞ্চ থেকে এ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা হয় মধ্যপ্রদেশে স্বাক্ষি গুপ্তার নামে এক জনের । গৌরাঙ্গ বাবু এরপরেই ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানান। ডানকুনি থানা এবং চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেলেও লিখিত অভিযোগ করেন।প্রতারকের আই কার্ড মোবাইল নম্বর ছবি এবং ব্যাঙ্কের সিসি টিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেল। এসিপি সাইবার সেল মৌমিতা সেন বলেন,চেক প্রতারনার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সম্ববত ভ্যানিসিং কালি ব্যবহার করে লোনদানকারী সংস্থার নাম করে প্রতারনা করা হয়েছে। এটা একসঙ্গে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং সাইবার সেল তদন্ত করছে। কোন এ্যাকান্টে টাকা গেছে সেটা যখন জানা গেছে আশা করা যায় টাকা খুব শীঘ্রই উদ্ধার করা যাবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।